About Me

My photo
এক অসহায় যুবককে সাহায্য করুন ভাইয়া, আমার সত্‍ মা আমাকে টাকা দিতে চায় না। কোন ভাল ইসলামী বই কিনতে ও নেট খরচ চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়। আপনি কি আমাকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন ? আমার বিকাশে একটা একাউন্ট আছে এই নাম্বারে 01836638195 আপনি বিকাশ চিহ্নিত যে কোন দোকানে যেয়ে আমার একাউন্টে কিছু টাকা দিতে পারেন। এর জন্য আপনার নিজের বিকাশ একাউন্ট থাকা লাগবে না। আমি বর্তমানে খুব আর্থিক সমস্যায় আছি। ডাচ বাংলা ব্যাংকে আমার একটা সেভিং একাউন্ট আছে। ঐটার ঠিকানা Name: Shafiur Rahman Farabi, Account no: 13210118551, Moulavibazar branch, Dutch Bangla Bank Limited, SWIFT CODE: DBBL BDDH, আমার মোবাইল +8801836638195

Tuesday, May 6, 2014

আত তাবারী কি কোন হাদীস গ্রন্থ ?

মানুষ কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার ব্যাপারে নাস্তিকদের জুড়ি নাই। আপনারা দেখবেন নাস্তিকরা সব সময় দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে কম জানা মুসলমানদের কে বিভ্রান্ত করে। যেটা হাদীসগ্রন্থ না সেটাও নাস্তিকরা অবলীলায় সাধারন মুসলমানদের মাঝে হাদীসগ্রন্থ বলে চালিয়ে দেয়। আর ফলশ্রুতিতে সাধারন মুসলমানরা নাস্তিকদের সেই কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে। বাংলা অন্তর্জালে দীর্ঘদিন ধরে নাস্তিকরা আত তাবারী নামক একটি ইতিহাস গ্রন্থ কে হাদীস গ্রন্থ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা কি জানেন তাবারী বা আত তাবারী বা আল তাবারী যে নামেই আমরা এই গ্রন্থটিকে ডাকি না কেন এটা কোন হাদীস গ্রন্থ নয়। তাবারী হচ্ছে একটা ইতিহাস গ্রন্থ। কিন্তু অনলাইনে নাস্তিকরা কি চমৎকার ভাবেই না দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছে এই তাবারী নামক একটা ইতিহাস গ্রন্থ কে হাদীস গ্রন্থ বলে চালিয়ে যাচ্ছে। ৩১০ হিজরির দিকে ইবনে জরীর আল তাবারী নামক একজন মুসলিম স্কলার এই তাবারী নামক একটি ইতিহাস গ্রন্থ লিখেন। এই তাবারী গ্রন্থের পূরা নাম হল  تاريخ الرسل والملوك Tarikh al-Rusul wa al-Muluk, তবে সাধারনত একে  Tarikh al-Tabari/তারিখ আল তাবারী নামেই ডাকা হয়। এই তাবারী ইতিহাস গ্রন্থে যেই সব বর্ননা এসেছে তার কোনটাই হাদীস নয়। হাদীস শাস্ত্রের কোন কিতাবে তাবারী নামক কোন গ্রন্থও নেই। এই তাবারীর ভুলভাল ইতিহাস লেখার প্রতিবাদ করেই ইবনে কাসীর البداية والنهاية 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া' নামক আরেকটি ইতিহাস গ্রন্থ লিখেন। অর্থ্যাৎ তাবারী বা আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া এগুলি কোনটাই হাদীস গ্রন্থ নয়। এগুলি হচ্ছে সব ইতিহাস গ্রন্থ। তারাবী গ্রন্থের ভুমিকায় ইবনে জরীর আল তাবারী নিজেই বলেছেন- “ Let the reader be aware that whatever I mention in my book is relied on the news that were narrated by some men. I had attributed these stories to their narrators, without inferring anything from their incidents .... ” “ If a certain man gets horrified by a certain incident that we reported in our book, then let him know that it did not come from us, but we only wrote down what we received from the narrators. " অর্থাৎ  আমি ভালো-খারাপ সকল ব্যক্তির কাছে যা বর্ণনা পেয়েছি তার সব এখানে তুলে ধরেছি,  এর থেকে জ্ঞানীরা সব যাচাই বাছাই করে নিবে . অর্থাৎ জরীর আল তাবারী তিনি তাঁর এই তাবারী গ্রন্থে যা কিছু বর্ণনা পেয়েছেন, তা কোনোরকম যাচাই- বাঁচাই ছাড়াই তা সংগ্রহ করেছিলেন। এতে উনার তাবারী গ্রন্থটি একটি বৃহৎ ইতিহাস গ্রন্থ হলেও কোন নির্ভরযোগ্য ইতিহাসগ্রন্থ হিসেবে তা বিবেচিত হয়না। সুতরাং তাবারির যে-সব কথা বা যে কোনো ইতিহাসভিত্তিক বর্ণনা,  যদি কোন হাদিসের বিপরীত হয় তা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না।  ইবনে জরীর আল তাবারী বিভিন্ন রাবীর কাছ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন সম্পর্কিত অনেক বর্ননা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন সম্পর্কিত তাবারীর সেই সংগৃহিত বর্ননা গুলি হাদীসের মাপ কাঠিতে উত্তীর্ন হতে পারি নি। আর তাই তাবারীকে কোন হাদীস গ্রন্থ বলা হয় না। তাবারী হচ্ছে মূলত একটা ইতিহাস গ্রন্থ। আর যেই উইকিপিডিয়ার কথা বলে নাস্তিকরা মুখে ফেনা উঠাই ফেলায় সেই উইকিপিডিয়ায় পর্যন্ত বলা হয়েছে যে তাবারী হচ্ছে একটা ইতিহাস গ্রন্থ। আপনারা এই লিংক http://en.wikipedia.org/wiki/History_of_the_Prophets_and_Kings  এ যেয়ে তাবারী যে একটা ইতিহাস গ্রন্থ সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাইবেলে হযরত দাউদ আলাইহিস সাল্লম, হযরত লুত আলাইহিস সাল্লাম, হুযরত সুলায়মান আলাইহিস সাল্লাম সম্পর্কে অনেক অনৈতিক কথা বার্তা রয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে নবী রাসূলগন হলেন নিস্পাপ। আল কোরআনেই নবী রাসূলদের নিস্পাপ থাকার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই বাইবেলে নবী রাসূলদের সম্পর্কে যে অনৈতিক কথা গুলি এসেছে এর সবগুলিই যে ইহুদী খৃস্টানদের বানোয়াট এতে কোন সন্দেহ নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাইবেলে নবী রাসূলদের সম্পর্কে যে অনৈতিক কথা গুলি এসেছে ঠিক তাবারীতেও এই বর্ননা গুলি এসেছে। আর তাই তাবারী গ্রন্থে লেখা অনেক ইতিহাস যে ভুল এতে কোন সন্দেহ নাই। তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিল ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ হলেও এই ধর্মগ্রন্থ গুলির বর্ণনার কোনো সুত্র বা সনদ নেই। লুক-মথির পত্র এগুলো কি আসলেই তাদের পত্র, নাকি অন্যের বানানো কিতাব এটা ইয়াহুদী-খ্রিস্টানরা প্রমাণ করতে পারবে না। এইজন্য দেখা যায় রোমান ক্যাথলিকরা যে বাইবেল পড়ে, প্রোটেস্টেন্ট খৃস্টানরা তাকে বাইবেল বলে মানে না।  আর ইহুদীরা তো বাইবেলের অল্ড টেস্টমেন কে স্বীকারই করতে চায় না। ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ হল তালমুদ। কিন্ত আপনারা যারা হাদিসের কিতাব পড়েছেন, তারা দেখেছেন হাদিস বর্ণনার আগে কিছু নাম দেয়া থাকে। অর্থাৎ হাদিসটি গ্রন্থবদ্ধ হওয়ার আগে কারা হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তাদের নাম। আর উনাদেরকেই বলা হয় রাবী। এবার রিজাল শাস্ত্রের কিতাব খুললেই আপনি রাবীদের জীবনী পাবেন। রাবীরা কেমন লোক ছিলো, সেটাও জানতে পারবেন। এভাবে রিজাল শাস্ত্রের কিতাবগুলিতে প্রায় ৫ লক্ষ রাবীর জীবনী সংকলিত হয়েছে। এইজন্যই মুহাদ্দিসরা বলেন, “সনদ হচ্ছে দ্বীনের অন্যতম স্তম্ভ। যদি সনদ না থাকে, তবে যার যা মন চায়, সে তা-ই বলবে।”  আর তাবারী গ্রন্থে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন সম্পর্কিত যেই বর্নানাগুলি এসেছে সেগুলি সনদের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে পারে নাই। আর তাই তাবারী হল শুধুমাত্র একটা ইতিহাস গ্রন্থ কোন হাদীস গ্রন্থ নয়। এই নাস্তিকরা প্রায়ই তারিখ আল তাবারী কে একটা হাদিস গ্রন্থ বলে তাবারী থেকে বিভিন্ন বর্ননা নিজের মত করে দিয়ে মুসলমানদের কে বিভ্রান্ত করছে। তাই নাস্তিকদের দেয়া তাবারী গ্রন্থের কোন কথাই আপনারা আর বিশ্বাস করবেন না। ইসলামের সীরাত গ্রন্থ গুলি হচ্ছে সীরাতে ইবনে ইসহাক, সীরাতে ইবনে হিশাম প্রভৃতি। আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী জানব বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ থেকে। কখনই তাবারী থেকে নয়। মুসলিম স্কলাররা অনেক আগেই তাবারী নামক এই ইতিহাস গ্রন্থ কে পরিতাজ্য ঘোষণা করেছেন। ইবনে জরীর আল তাবারি নামে দুই জন প্রসিদ্ধ আলিম ছিলেন। একজন কট্রর শিয়াপন্থী অপরজন হক্বপন্থী। তারিখে তাবারি হকপন্থী আলিমেরই লেখা। তবে তিনি তাঁর এই গ্রন্থে যা- কিছু বর্ণনা পেয়েছেন,কোনোরকম যাচাই- বাঁচাই ছাড়াই সংগ্রহ করেছেন। এতে গ্রন্থটি বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থ হলেও নির্ভরযোগ্য ইতিহাসগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়নি। সুতরাং তাবারির যে-সব বর্ণনা বা যে কোনো ইতিহাসভিত্তিক বর্ণনা, তা যত শক্তিশালী-ই হোকনা কেনো, কোন হাদিসের বিপরীত হলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না । বাংলাদেশের নাস্তিকদের গুরু অভিজিৎ রায় উনার লেখা ফেইসবুক নোট ও ব্লগে প্রায়ই এই কথাটা বলেন যে তাবারীই নাকি হচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন সম্পর্কে জানার সবচেয়ে ভাল উৎস ! নাস্তিকরা বলতে চাচ্ছে যে বুখারী মুসলিম তিরমিযী সীরাতে ইবনে ইসহাক, সীরাতে ইবনে হিশাম  এখন থেকে বাদ দিয়ে আমরা মুসলমানরা এখন থেকে ইসলাম জানব  তাবারী নামক একটা ইতিহাস  গ্রন্থ থেকে ! সীরাতে ইবনে ইসহাক বা সীরাতে ইবনে হিশাম যার তার কাছ থেকে বর্ণনা নিয়ে লেখা হয় নি। মোটামুটি সনদের একটা ধারাবাহিকা রক্ষা করা হয়েছে এই সীরাত গ্রন্থ গুলিতে। কিন্তু তাবারীতে যা কিছুই করা হয় নি। আর তাই তাবারীকে অনেক আগেই মুসলিম স্কলাররা বাদ দিয়েছেন।  সত্যি কথা বলতে কি ইতিহাস জানার জন্য তাবারীর চেয়ে আল বিদান ওয়ান নিহায়া উত্তম।  বাইবেলে একটি কাহিনী বর্নিত আছে যে  দাউদ আলাইহিস সাল্লাম নাকি উনার সেনাপতি উরিয়ার স্ত্রী বত্শেতবা বিনতে ইলিয়ামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। পরবর্তীতে এক অসম যুদ্ধে উরিয়াকে প্রেরণ করে তারপর উরিয়া নিহত হলে বত্শেরবা কে নাকি হযরত দাউদ আলাইহিস সাল্লাম পরবর্তীতে বিয়ে করেন। হযরত দাউদ আলাইহিস সাল্লাম নাকি নারী লিপ্সু ছিল এসব কথাও বাইবেলে লেখা আছে। নাউযুবিল্লাহ।  কিন্তু পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে যে সকল নবী রাসূলরা হল নিস্পাপ।   দুঃখজনক হলেও সত্য যে হযরত দাউদ আলাইহিস সাল্লাম কে নিয়ে লেখা এই মিথ্যা কিচ্ছা কাহিনীটা আত তাবারীতেও বর্ণিত আছে। তাই তাবারীর অনেক কথাই যে পরিতাজ্য এতে কোন সন্দেহ নাই।  সীরাত গুলি লেখা হয়েছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকাল হবার পর ১০০ বছর পর। আর সীরাতে ইবনে হিশাম, ইবনে ইসহাক এও কিছু বর্ণনা পাওয়া যায় যা সহী হাদীস গুলির সাথে সাংঘর্ষিক। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী সম্পর্কিত কোন তথ্য যদি সহীহ হাদীস বা আল কোরআনের বিপরীত হয় তাইলে তা পরিতাজ্য।

Monday, April 28, 2014

যুদ্ধবন্দী নারী প্রসঙ্গে নাস্তিকদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব

220px-CityofLifeandDeath City of Life and Death এই চায়না মুভিটা যারা দেখেছেন তারা জানেন যে ১৯৩৭ সালের ২য় চায়না জাপান যুদ্ধ যেটাকে বলা হয় Second Sino-Japanese War এই যুদ্ধে জাপানী সৈন্যরা চীনের Nanjing (or Nanking) শহর যেটাকে বলা হত দক্ষিন চীনের রাজধানী এই শহরটা জয় করে। তারপর জাপানী সৈন্যরা নানকিং শহরের সব মেয়েদের কে অপহরন করে তাদের যৌণদাসী বানায়। এই মেয়েগুলিকে জাপানী সৈন্যরা Sex Slave Girl বা যৌণ দাসী হিসাবে ব্যবহার করে। city_of_life_and_death_b YunghiKimComfortWoman05-1 Sex Slave Girl বা যৌণ দাসী এই শব্দটার সাথে হয়ত আপনারা অনেকেই পরিচিত। ১ম বিশ্বযুদ্ধ ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তি উভয় গ্রুপই তার শত্রুদেশ সমূহ জয় করে সেই পরাজিত দেশের অসহায় মেয়েদের কে নিয়ে বিভিন্ন যৌণ ক্যাম্প করত। সেই সব ক্যাম্পেমেয়েদের কে কোন পোশাক ছাড়া রাখা হত। সৈন্যরা যুদ্ধ শেষে তারপর সেই সব ক্যাম্পে এসে গণহারে মেয়েদের কে ধর্ষন করত। শত্রু সৈন্যদের ধর্ষনের সময় সেই অসহায় মেয়েরা মারাও যেত। এই যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে বিজিত দেশের সৈন্যরা কি রকম আচরন করত টা যদি আমরা উইকিপিডিয়া থেকে দেখি তাইলে সেখানে বলা হয়েছে- “According to Japanese soldier Yasuji Kaneko. "The women cried out, but it didn't matter to us whether the women lived or died. We were the emperor's soldiers. Whether in military brothels or in the villages, we raped without reluctance. মেয়েরা কান্নাকাটি করত কিন্তু তা আমাদের কাছে ধর্তব্য ছিল না যে তারা বাঁচবে নাকি মারা যাবে। আমরা কোন বিতৃষ্ণা ছাড়াই তাদের কে ধর্ষন করে যেতাম। একটা যুদ্ধবন্দী নারী দিনে ৫০/১০০ জনের মত সৈন্যের সাথে মিলিত হতে বাধ্য থাকত। [তথ্য সূত্র] ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন চীন আক্রমণ করে তখন জাপানী সৈন্যরা চীনের মেয়েদের কে যৌণদাসী বানিয়েছিল। 220px-The_Allied_Reoccupation_of_the_Andaman_Islands,_1945_SE5226 comfort_women_used_by_us জাপানী সৈন্যদের গনধর্ষনে অনেক চীনা মেয়ে মারাও গিয়েছিল। এই মেয়েদের কে comfort Women নামেও অভিহিত করা হত। ছোট ছোট শিশুদেরকেও ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান ও জাপানী সৈন্যরা তাদের সাথে বিছানায় যেতে বাধ্য করত। জাপান, জার্মানী, রাশিয়া ও ফ্রান্স এরা ইউরোপ আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করার সময় সেইসব দেশের প্রচুর মেয়েকে যুদ্ধবন্দী বানিয়ে ধর্ষন করত। বিজিত সব দেশই এই Comfort Woman দের কে নিয়ে brothels খুলত। Frankreich, Brest, Soldatenbordell 220px-Chinese_girl_from_one_of_the_Japanese_Army's_'comfort_battalions' ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপান যখন বার্মা আক্রমণ করে তখন অনেক বার্মীজ শিশুকেও জাপানীয সৈন্যরা comfort Women হিসাবে ব্যবহার করত। এমনকি তাদের দিয়ে Oral Sex পর্যন্ত করাত তারা। প্রায় ২০ লাখের মত নারী ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধর্ষিত হয়েছিল। Category ভিত্তিক War rape in World War II সম্পর্কে জানতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন Sculpture_at_Mujibnagar_Birangana ১৯৭১ সালে পকিস্তানী হানাদার বাহিনীও আমাদের দেশের মেয়েদের কে Sex Slave Girl বা যৌণ দাসী বানিয়ে অনেক গুলি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গন ধর্ষনের কারনে অনেক মেয়ে মারা গিয়েছিল এটা আমরা সবাই জানি। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর যেসকল সদস্য এই গন ধর্ষনে জড়িত ছিল আমাদের তথাকথিত জাতির পিতা শেখ মুজিব কিন্তু তার কন্যাদের ধর্ষনকারী পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সেই সকল সৈন্যদের কে সসম্মানে বাংলাদেশ ত্যাগ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। যাই হোক নাস্তিকরা প্রায়ই বলে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি যুদ্ধে পরাজিত গোত্রগুলির মেয়েদের কে যৌণদাসী বানিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ। আমি এখন নাস্তিকদের বলতে চাই যে আপনারা আমাকে এমন একটা উদাহরন দেখান যেখানে মদীনার কোন পরাজিত গোত্রদের নারীদের কে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন যৌণ ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন যেখানে সাহাবীরা ইচ্ছামত যেয়ে নারীদের কে ধর্ষন করত। কিন্তু সারা পৃথিবীর সকল নাস্তিক মিলেও এমন কোন প্রমান দেখাতে পারবে না যে ইসলাম মদীনার কোন পরাজিত গোত্রের মেয়েদের কে Sex Slave Girl বা যৌণ দাসী বানিয়েছিল। যুদ্ধবন্দী নারী এই প্রসঙ্গ নিয়ে নাস্তিকরা প্রায়ই জলখোলা করতে চায়। যুদ্ধবন্দী নারী এই প্রসঙ্গটা টেনে নিয়ে এসে নাস্তিকরা দীর্ঘদিন ইসলাম কে একটা বর্বর সন্ত্রাসের ধর্ম বলে প্রমান করতে ব্যস্ত। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে এই যুদ্ধবন্দী নারী বলতে খালি ইহুদী গোত্র বনু কোরাইজা ও হুনাইনের যুদ্ধের পর কিছু যুদ্ধবন্দি নারীর নাম পাওয়া যায়। কিন্তু সাহাবীরা যে ইরাক ইরান সিরিয়া মিশর জর্ডান তুরস্ক এত বড় বড় দেশ জয় করল কই সেইসব দেশের কোন নাগরিকদের তো সাহাবীরা দাসদাসী বানায়নি। বনু কোরায়জা বা হুনাইনের যুদ্ধের পরে যে নারী গুলি মুসলমানদের হাতে হস্তগত হয়েছিল এদের মাঝে একটা নারীকেও ধর্ষন করা হয় নি। প্রত্যেক নারীকেই সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল। সাহাবীরা পরে মুতা বিয়ের মাধ্যমে তাদের সাথে মিলিত হয়েছিল। ইসলামের মুতা বিয়ের আইন তখনই নাযিল হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ইসলাম মুতা বিয়েকে হারাম ঘোষনা করেছে। যুদ্ধবন্দী নারী এই প্রসঙ্গে নাস্তিকরা সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতটা ব্যবহার করে। আমরা এখন সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতটা পুরাটা পড়ি وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। [ সূরা নিসা, আয়াত নংঃ২৪ ] আমরা এখন সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতটা পুরাটা দেখি তাইলে পাই এখন আমরা দেখতে পাই যে “অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। ’’ এই আয়াত দ্বারা কিন্তু বুঝা যাচ্ছে যে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে একটি চুক্তি করেই তারপর তার সাথে মিলিত হতে হবে। হ্যা আর এই চুক্তিটাকেই বলা হয়েছে মুতা বিবাহ। অর্থ্যাৎ মুতা বিয়ের মাধ্যমেই সাহাবীরা যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে মিলিত হত। তারপর আমরা যদি এর পরের আয়াতটা দেখি وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلاً أَن يَنكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِن مِّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَاللّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُمْ بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلاَ مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ وَأَن تَصْبِرُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। [ সূরা নিসা, আয়াত নংঃ২৫ ] সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে যে কারো যদি যুদ্ধবন্দী কোন নারী বা ক্রীতদাসীর প্রতি আকর্ষন বোধ হয় তাইলে সে তাকে বিয়ে করে তারপর তার সাথ মিলিত হবে। দেখুন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এখানে ক্রীতদাসী/যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে বিয়ে করার ব্যপারে তাগাদা দিচ্ছেন এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান করার জন্যও বলা হচ্ছে। এর চাইতে বেশী অধিকার একজন ক্রীতদাসীকে আর কি দেয়া যেতে পারে? যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে কেউ সেক্স করতে চাইলে তাদেরকে বিয়ে করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:২৫)। উম্মুল মুমেনীন জুহায়রিয়া, রায়হানা ও সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহারা কিন্তু প্রথমে যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন। তাই আজকে আমরা হযরত জুহায়রিয়া, হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মুল মুমেনীন বলি। নাস্তিকরা শুধু আপনাকে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ১ম অংশ দক্ষিন হস্তের কথাটা বলবে কিন্তু নাস্তিকরা কখনই আপনাকে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের পুরাটা ও সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতের পুরাটা বলবে না। কারন সূরা নিসার ২৪ ও ২৫ নং আয়াত টা পড়লেই আপনারা বুঝবেন যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যুদ্ধবন্দী নারীদের কে বিয়ে করার হুকুম দিয়েছেন। আবার সেক্স করার জন্য যুদ্ধবন্দীনি নারীদের উপর কোন জোর-জবরদস্তি করা যাবে না এটাও কোরআনে বলা হয়েছে- " وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّى يُغْنِيَهُمْ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَالَّذِينَ يَبْتَغُونَ الْكِتَابَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا وَآتُوهُم مِّن مَّالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ وَلَا تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاء إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَن يُكْرِههُّنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِن بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَّحِيمٌ যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা নুর: ৩৩] অর্থ্যাৎ সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াত মতে বুঝা যাচ্ছে যে কোন যুদ্ধবন্দী নারী বিয়ে ছাড়া মিলিত হতে না চাইলে তাকে জোর করা যাবে না। অবশ্যই বিয়ের মাধ্যমে যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে মিলিত হতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের ১০ খন্ড পৃষ্ঠা ৩০৬ তে ২৯১২ অনুচ্ছেদে সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে হযরত ওমরের খিলাফত কালে সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে প্রাপ্ত একটি দাসীর সাথে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে যিনা করে। হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। অর্থ্যাত্‍ কেউ যুদ্ধবন্দী নারী বা তার অধিনস্থ ক্রীতদাসীর সাথে ইচ্ছার বাইরে Sex করলে তার উপর হুদুদ প্রয়োগ হবে। তাইলে আপনারা দেখুন নাস্তিকরা কিভাবে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ১ম অংশ দিয়ে কিভাবে আমাদের কে বিভ্রান্ত করছে। আল কোরআনের কোথায় আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যুদ্ধবন্দী নারীদের কে ধর্ষন করতে বলেছেন ? নাউযুবিল্লাহ। সূরা নিসার ২৪, ২৫ ও সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াতগুলি পড়লে আপনারা বুঝবেন যে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে মুতা বিবাহ অথবা স্থায়ী বিবাহের মাধ্যমেই শুধু মিলিত হওয়া যাবে। এখন ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে বনু কোরাইজা ও হুনাইনের যুদ্ধের পরে কিছু নারী যুদ্ধবন্দী হিসাবে সাহাবীদের কাছে এসেছিল তা আপনাদের কে এখন আমি বলছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনায় ২০ টার মত ইহুদী গোত্র ছিল। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল বনু কোরায়জা, বনু নাদীরা, বনু কায়নুকা, বনু মোস্তালাক, বনু যানবা, বনু আওফ, বনু আন-নাজ্জার, বনু ছালাবা ইত্যাদি। ইসলাম পূর্ব যুগে মদীনার ইহুদীরা আওস ও খাযরায গোত্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল। তারপর আওস ও খাযরায গোত্রের লোকেরা যখন ১ম বায়াতে আকাবা ও ২য় বায়াতে আকাবার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মদীনার নিরুংকুশ ক্ষমতা দিল তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় আগমন করলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতে আসার পরে মুসলিম, ইহুদী ও পৌত্তলিকদের নিয়ে এক অভিনব সাধারণতন্ত্র গড়ে তোলেন। বিপরীত চিন্তা, রুচি ও ধর্মাভাব সম্পন্ন মুসলিম, ইহুদী ও পৌত্তলিকদের দেশের সাধারণ স্বার্থরক্ষা ও মঙ্গলের জন্যে একটি রাজনৈতিক জাতিতে পরিণত করার জন্যে তিনি একটি সনদ তৈরী করেন। সনদে তিন পক্ষই স্বাক্ষর করেন। এই অভিনব ও অশ্রুতপূর্ব চুক্তি বা সনদ যেটা ইতিহাসে মদীনা সনদ নামে পরিচিত এর কিছু ধারা নীচে দেয়া হলো- ১। ইহুদী ও মুসলিম ও পৌত্তলিকরা এক জাতি (রাষ্ট্রীক কাঠামোর মধ্যে বসবাসকারী ‘জাতি’)। ২। এই সনদের অন্তর্ভূক্ত কোন গোত্র শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে সবার সমবেত শক্তি নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে। ৩। কেউ কোরাইশদের সাথে কোনো রকমের গোপন সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হতে পারবে না ও কোরাইশদের কে কোন সামরিক দিক দিয়ে সাহায্য করবে না। ৪। মদিনা আক্রান্ত হলে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে সবাই মিলে যুদ্ধ করবে এবং সম্প্রদায়গুলো নিজেদের যুদ্ধব্যয় নিজেরা বহন করবে। ৫। ইহুদী-মুসলিম সহ চুক্তিবদ্ধ সকল সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মকর্ম পালন করবে, কেউ কারুর ধর্ম-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না।… ইত্যাদি। মদিনার সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে চুক্তি/সন্ধি অনুসারে সব ইহুদী গোত্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল যে তারা মুসলমানদের কোন শত্রুকে কোনরকম সাহায্য সহযোগিতা করবেনা। কোন বহিঃশত্রু মদিনা আক্রমণ করলে তারাও মুসলমানদের মতো স্বদেশ রক্ষার্থে নিজেদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করবে। কিন্তু সন্ধির শর্ত ও মদীনার স্বাধীনতা ও সম্মানকে উপেক্ষা করে বনু কুরাইযা সহ বাকী ইহুদী গোত্র একাধিকবার কোরাইশদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মুসলমানদের সাথে মদীনা সনদ প্রথম ভঙ্গ করে বনু কায়নুকা গোত্র। কিন্তু রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কায়নুকা গোত্রের কোন অধিবাসীকে হত্যা না করে নির্বাসন দিয়ে দেন। এরপর বনু নাদিরা গোত্র রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যার চেষ্টা করে। তাও রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু নাদিরা গোত্রকে ক্ষমা করে দেন। মুসলমানদের সাথে বনু কায়নুকা ও বনু নাদিরা গোত্রের ষড়যন্ত্র জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন খন্দকের যুদ্ধের সময় যখন মুসলমানরা মদীনা নগরী ত্যাগ করে কাফেরদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত তখন বনু কোরায়জা গোত্রের ইহুদীরা চুক্তিভংগ করে মক্কার কাফেরদের সাথে হাত মিলিয়ে পিছন দিক থেকে মদীনা আক্রমন করার চেষ্টা চালায়। যদিও ইহুদী গোত্র বনু কোরাইজা গোত্রের সেই চেষ্টাটা সফল হয়নি। খন্দকের যুদ্ধের পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কোরায়জা গোত্রকে অবরোধ করেন। যেহেতু বনু কোরায়জা গোত্র কাফেরদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ চলার সময় চুক্তি ভংগ করেছে তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কোরায়জা গোত্রকে বলেন তোমাদের ব্যাপারে আমার ফয়সালা কি হবে ? তখন বনু কোরায়জা গোত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেন তাদের মিত্র আওস গোত্রের হযরত সাদ ইবনে মুয়ায রাযিয়াল্লাহু আনহু যে ফয়সালা করবেন তাতেই তারা সম্মত আছে। হযরত সাদ ইবনে মুয়ায রাযিয়াল্লাহু আনহু ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধান মতে যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে বনু কোরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদিকে হত্যা করা এবং ইহুদি নারীদের কে দাসী হিসাবে বিক্রি করে দেয়া হোক এই রায় দেন। এরপরে বনু কোরাইজা গোত্রের ৪০০ পুরুষ ব্যক্তিকে একই দিনে হত্যা করা হয় এবং বনু কোরায়জা গোত্রের প্রত্যেকটা যুদ্ধবন্দী নারীকে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল যেন তারা Public Property তে পরিনত না হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাহাবীরা তাদের কে বিয়ে করে তাদের কে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। বনু কোরায়জা গোত্রের ইহুদীরা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলত যে আপনি আপনার ইচ্ছামত আমাদের প্রতি আচরণ করেন তাইলে কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই বনু কোরায়জা গোত্রের সকল ইহুদীদেরকেই ক্ষমা করে দিতেন। ঠিক যেরকম টা আমরা দেখি মক্কা বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কার কাফেরদের কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তোমরা আমার কাছে কিরকম আচরন প্রত্যাশা করছ তখন মক্কার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিল- “ আপনি হচ্ছেন আমাদের সম্মানিত ভ্রাতা ও সম্মানিত ভ্রাতুষ্পুত্র। আমরা আপনার কাছে ভাইয়ের মতই আচরণ প্রত্যাশা করি। “ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার কাফেরদের কে বলেছিলেন- “ আজ আমি তোমাদের কে সেই কথাই বলব যেই কথা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লাম তার ভাইদের কে বলেছিলেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। তোমরা সবাই স্বাধীন মুক্ত। “ একটু চিন্তা করে দেখুন যেই মক্কার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শত সহস্রবার আঘাত করেছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে উনার পিতৃভুমি থেকে বহিস্কার করেছিল, বারবার মদীনা আক্রমণ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সকল কেই ক্ষমা করে দেন। এরকম ক্ষমার দৃষ্টান্ত এই পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই। যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গের দায়ে অপরাধী বনু কোরায়জা গোত্রের ইহুদীরাও যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ক্ষমা চাইত তাইলে কিন্তু ঠিকই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও মক্কার কাফেরদের ন্যায় বনু কোরাইজা গোত্রের সকল ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিতেন। ঠিক যেরকম ভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মদীনার অন্যান্য ইহুদী গোত্র যেমন বনু নাদিরা, বনু কায়নুকাদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। আর বনু কোরায়জা গোত্রের উপর এই ফয়সালা ছিল ইসরাঈলী শরীয়তের সামরিক বিধি মুতাবেক। তাওরাতের ১১-১৩ আয়াতে বলা আছে: “যখন তুমি কোন নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে তাহার নিকটে উপস্থিত হবে, তখন তাহার কাছে সন্ধির কথা ঘোষনা করিবে। তাহাতে যদি সে সন্ধি করিতে সম্মত হইয়া তোমার জন্য দ্বার খুলিয়া দেয় তবে সেই নগরে যে সমস্ত লোক পাওয়া যাবে তাহারা তোমাকে কর দিবে ও তোমার দাস হইবে। কিন্তু যদি সে সন্ধি না করিয়ে তোমার সহিত যুদ্ধ করে, তবে তুমি সেই নগর অবরোধ করিবে। পরে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাহা তোমার হস্তগত করিলে তুমি তাহার সমস্ত পুরুষদের কে খড়গধারে আঘাত করিবে; কিন্তু স্ত্রীলোক, বালক-বালিকা ও পশু প্রভূতি নগরের সর্বস্ব, সমস্ত লুট দ্রব্য আপনার জন্য লুটস্বরুপ গ্রহন করিবে আর তোমার ঈশ্বর প্রদত্ত শত্রুদের লুট ভোগ করিবে” (দ্বিতীয় বিবরণ, অধ্যায় ২০, আয়াত ১০-১৪, পবিত্র বাইবেল, বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, ঢাকা) বাইবেলের ২টা ভাগ একটা হল অল্ট টেস্টমেন আরেকটা হল নিউ টেস্টমেন। বাইবেলের অল্ড টেস্টমেনকেই তাওরাত বলা হয়। বনী কুরায়জা গোত্রের সাথে মুসলমানদের এই আচরন করার কারন গুলির বিস্তারিত বর্ননা আপনারা এই লিংকে পাবেন আর যে উইকিপিডিয়ার কথা বলে নাস্তিকরা মুখে ফেনা উঠিয়ে ফেলে সেই উইকিপিডিয়াতেই ইহুদি ঐতিহাসিকদের রেফারেন্স সহকরে বলা আছে বনু কুরাইজা গোত্র যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। নাস্তিকরা কি এখন বলবে যে উইকিপিডিয়ার এই লেখাটাও আমরা মুসলমানরা লিখে এসেছি? উইকিপিডিয়াতেও বলা আছে যে বনু কোরাইজা গোত্রের উপর তালমুদীয় শাস্তি প্রয়োগ হয়েছিল। http://en.wikipedia.org/wiki/Invasion_of_Banu_Qurayza তারপর মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মক্কার সকল কাফেরদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি। মক্কা বিজয়ের পরে আরবের প্রায় সব গোত্রই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু হাওয়াযেন গোত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়নি। আরবে হাওয়াযেন গোত্রকে কুরাইশদের পর দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে গণ্য করা হত। হাওয়াযেন গোত্রের সাথে আরো বেশ কিছু উচ্ছৃংখল গোত্র যেমন সাকীফ, মোযার, জোশাম ও সাদ ইবনে বকর এর গোত্রসমূহ যোগ দেয়। তারা হাওয়াযেন গোত্রের অধিপতি মালিক ইবনে আওফ কে তাদের নেতা বানিয়ে মক্কা থেকে ১০ মাইল দূরে হোনায়ন নামক প্রান্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। 66596234 যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এই সকল কাফের গোত্র তাদের পরিবার পরিজন কেও তাদের সাথে নিয়ে আসে যেন পরিবার পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা সবাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রানপণে যুদ্ধ করে। জাহেলিয়াতের যুগে সেটা রীতি ছিল যে শ্ত্রুপক্ষ যুদ্ধের সময় তাদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে আসত যুদ্ধের ময়দানে যেন পরিবার পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করে। যথারীতি হুনায়নের যুদ্ধে মুসলমানরা জয়ী হয়। সেই সময়ের যুদ্ধরীতি অনুসারে হুনায়নের যুদ্ধ করতে আসা পরাজিত সকল গোত্রের নারী পুরুষ, তাদের উট বকরী ও ধন সম্পদ মুসলমানদের হস্তগত হয়। এবং যথরীতি তা গনীমতের মাল হিসাবে সাহাবীদের মাঝে বন্টনও করা হয়। কিন্তু গনীমতের মাল বন্টনের ৭ দিন পরেই হুনায়নের যুদ্ধ করতে আসা সকল কাফের গোত্রপতিরা মুসলমান হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বন্টন হয়ে যাওয়া তাদের সকল পরিবার পরিজন ও তাদের সহায় সম্পত্তি সাহাবীদের কাছ থেকে নিয়ে তাদের মাঝে ফেরত দিয়ে দেন। নাস্তিকরা কিন্তু আপনাদের কে খালি এই হুনায়নের যুদ্ধের গনীমতের মাল বন্টনের কথাটাই বলবে কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে গনীমতের মাল বন্টন হবার ৭ দিন পরেই এই হুনায়নের যুদ্ধ করতে আসা সকল পরাজিত গোত্রপতিদের কে তাদের পরিবার পরিজন ও সহায় সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তা কিন্তু আপনাকে কখনই বলবে না। এখন আপনি হয়ত বলতে পারেন যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন হুনায়নের যুদ্ধে পরাজিত গোত্রপতিদের পরিবার পরিজন ও সহায় সম্পত্তিকে গনীমতের মাল হিসাবে বন্টন করেছিলেন ? আচ্ছা হুনায়নের যুদ্ধে যদি কাফেররা বিজয়ী হত তাইলে কি তারা আমাদের কে কচুকাটা করত না ? অবশ্যই হুনায়নের যুদ্ধে মুসলমানরা পরাজিত হলে এখন আর পৃথিবীতে একটি মুসলমানও বেঁচে থাকত না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুনায়নের যুদ্ধে পরাজিত গোত্রপতিদের পরিবার পরিজন ও সহায় সম্পত্তিকে গনীমতের মাল হিসাবে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে আরবের অন্যান্য কাফের গোত্রদের কে একটি শক্ত বার্তা দিয়েছিলেন যে ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধ করতে আসলে তাদের পরিনতিও এই হুনায়নের যুদ্ধে পরাজিত এই গোত্রপতিদের ন্যায়ই হবে। আপনি হয়ত এখন বলতে পারেন যে ঐ যুদ্ধবন্দী নারীদের কে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেবার কারন কি ? কিন্তু এটা কি সম্ভব যে ঐ মহিলারা খাবে দাবে কিন্তু তাদের জৈবিক চাহিদা পূরন করতে পারবে না। আর ইসলমের পর্দা প্রথার কারনে এটাও সম্ভব ছিল না যে কোন সাহাবীর তত্ত্ববধানে ঐ সব যুদ্ধবন্দী নারীদের কে সার্বক্ষনিক ভাবে রাখা। কারন এতে আরো ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে যাবে। আর এভাবে যুদ্ধবন্দী নারীদের কে নিজেদের মত থাকতে দিলে সমাজে ব্যভিচার জড়িয়ে পড়ত। আর আপনারা একটু লক্ষ্য করে দেখুন এই হুনাইনের যুদ্ধে যেইসব যুদ্ধবন্দী নারী মুসলমানদের হস্তগত হয়েছিল তা কিন্তু এই হুনাইনের যুদ্ধ করতে আসা কাফেররাই নিয়ে এসেছিল। হুনাইনের যুদ্ধের ময়দানে যদি এই মহিলারা তাদের স্বামীদের সাথে না থেকে তাদের বাড়িতে বসে থাকত তাইলে কিন্তু তারা কখনই মুসলমানদের হাতে বন্দী হত না। তাই হুনাইনের যুদ্ধবন্দী নারীদের হস্তগত করারা ব্যাপারে সাহাবীদের কোন ভূমিকা নেই। বনু কোরায়জা বা হুনাইনের যুদ্ধের পরে যে নারী গুলি মুসলমানদের হাতে হস্তগত হয়েছিল এদের মাঝে একটা নারীকেও ধর্ষন করা হয় নি। প্রত্যেক নারীকেই সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল। সাহাবীরা পরে মুতা বিয়ের মাধ্যমে তাদের সাথে মিলিত হয়েছিল। ইসলামের মুতা বিয়ের আইন তখনই নাযিল হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ইসলাম মুতা বিয়েকে হারাম ঘোষনা করেছে। আর হুনাইনের যুদ্ধের পর তাদের কাফের স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের কে যুদ্ধক্ষেত্রে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। এখন সাহাবীদের পক্ষে কি সম্ভব ঐ ৩০০/৪০০ মহিলাকে সারা জীবন দেখে শুনে রাখা ? আর সেইসব ইহুদীরা ও কাফেররা যদি সাহাবীদের সাথে যুদ্ধে জিতে যেত তাইলে কিন্তু তারাও সাহাবীদের কে দাস দাসীতে রূপান্তরিত করত। যুদ্ধ কোন মিঠা জিনিস না। সাহাবীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই ঐ ২/৩ টা গোত্রের লোকদের কে দাস দাসী বানিয়েছিলেন যেন কাফের ও ইহুদীরা মুসলমানদের কে ভয় পায়। আর এই দাস দাসী বানানো টা কিন্তু ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধানমতেই হয়েছিল। একপেশে চিন্তা ভাবনা না করে আপনারা please উভয় দিকের ব্যাপারটাই চিন্তা করুন। তাইলেই আপনার সব প্রশ্নের উত্তর খুজে পাবেন ভাই। আর কোন মুসলমান কে কখনই দাস দাসী বানানো যায় না। আমরা হলাম মুসলমান তাইলে পাকিস্তানীরা আমাদের কে কিভাবে দাস দাসী বানাবে ? পাকিস্তানীরা ৭১ সালে আমাদের উপর যা করেছিল তা ছিল সুস্পষ্ট জুলুম। আর এই জুলুমের প্রতিদান এখন পাকিস্তানীরা নিজেরাই বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একজন আরেকজন কে বোমা মেরে হত্যা করে পাচ্ছে। যেই ২/১ টা ইহুদী গোত্রের নারীদের কে মুসলমানরা যুদ্ধবন্দী বানিয়েছিল তারা কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধানমতেই যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবে মুসলমানদের কাছে নীত হয়েছিলেন। প্রত্যেকটা যুদ্ধবন্দী নারীকে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল যেন তারা Public Property তে পরিনত না হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাহাবীরা তাদের কে বিয়ে করে তাদের কে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। উম্মুল মুমেনীন জুহায়রিয়া, রায়হানা ও সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহারা কিন্তু প্রথমে যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন। তাই আজকে আমরা হযরত জুহায়রিয়া, হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মুল মুমেনীন বলি। কিন্তু মুক্তমনায় হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রক্ষিতা বলা হয়েছে, নাউযুবিল্লাহ। আর মুসলমানরা একমাত্র বনু কুরায়জা এই ১ টি ইহুদী গোত্রের নারীদের কেই যুদ্ধবন্দী বানিয়েছিল। এরপর আর কোন পরাজিত জাতিকেই মুসলমানরা দাস দাসী বানাইনি। আর হুনাইনের যুদ্ধবন্দী নারীরা মাত্র ৭ দিনের জন্য যুদ্ধবন্দী হিসাবে সাহাবীদের মাঝে ছিল। তারপর তাদেরকে তাদের পরিবার পরিজনের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। 10003451_868752776484841_2253622893939127807_n প্রাচীন কালের দাস দাসী প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ কি আদৌ সমর্থন করে কিনা তা জানতে আপনারা আমার এই NOTE টি পড়ুন অনেকেই বলে থাকেন যে আল কোরআনে কেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করল না। আচ্ছা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যদি সেই সময়ে দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করতেন তাইলে তো কাফের ও ইহুদীরা আরো বেশী করে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে জড়িত হত কারন তারা ভাল করেই জানত যে আমরা যুদ্ধে পরাজিত হলেও মুসলমানরা আমাদের কে দাস দাসী বানাবে না। মাদানী যুগে ২৭ টা যুদ্ধ হয়েছিল আর আল কোরআনে দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করলে তো সেই মাদানী যুগেই মুসলমানদের সাথে কাফেরদের ২৭০০ টা যুদ্ধ হত। তাই মুসলমানদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই সেই সময়ে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করেন নি। কোরআনে দাস-দাসী ও যুদ্ধবন্দীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়ার কথা বিভিন্নভাবে এবং বহুবার বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে যে, এটি একটি অত্যন্ত মহৎ কাজ। দেখুন কোরানের আয়াত---৯০:১২-১৩, ২:১৭৭, ৪৭:৪, ৯:৬০, ৫:৮৯, ৪:২৫, ৪:৯২, ২৪:৩৩, ৫৮:৩। যুদ্ধবন্দী নারী এই বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাদের কে মুসলমানদের সাথে মদীনার ইহুদীদের আচরণগুলিও বুঝতে হবে। এই লিংকে ক্লিক করে মুসলমানদের সাথে মদীনার ইহুদীদের আচরণগুলি জানুন নাস্তিকরা প্রায়ই আযল সংক্রান্ত যেই হাদীস গুলার কথা বলে এগুলি সব বনু কোরাইজা, বনু মোস্তালাক ও হোনাইনের যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত। সেই যুগে দাসীদেরকে স্ত্রীর মত ব্যবহার করা যেত। আর দাসীর সাথে আযল করা যাবে কিনা এই নিয়ে সাহাবীরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে প্রশ্ন করেছেন। আরে ভাই আযল এটা নিজ স্ত্রীর সাথেও করা জায়েজ আছে। আযল সংক্রান্ত হাদীস গুলিতে সাহাবীরা নিজ স্ত্রীর সাথ আযল করবে কিনা এটাও রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞাস করতেন। তাই আযল মানেই যে শুধু যুদ্ধবন্দী বা ক্রীতদাসী তা ঠিক নয়। আশা করি এই আলোচনা করার পর যুদ্ধবন্দী নারী নিয়ে কারো মনে আর কোন বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না। তথ্যসুত্রঃ ১.সীরাতে ইবনে হিশাম, ২.আর রাহীকুল মাখতুম, ৩.আস সীরাতুন নাবাবিয়্যা/নবীয়ে রহমত [ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত] ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ? হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব মেসওয়াক করার ফযীলত আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ? সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না

Friday, April 4, 2014

FBI এর স্টিং অপারেশন নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন


আমেরিকা সরকার কর্তৃক নর্থ সাউথের নাফিস কে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাসানো ও ২ দিন আগে রেজওয়ান কাউসারের ১৭ বছর জেল হওয়া এই ২ টি ঘটনা টা নিয়ে সারা বাংলাদেশ এখন উত্তাল। আপনি Google এ জিহাদ/Zihad লিখে Search দিলেই অনেক ফেইক ওয়েবসাইট পাবেন যেইখানে আপনাকে জিহাদ করতে উত্‍সাহিত করা হবে এমনকি তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করে জিহাদের সরঞ্জাম পৌছানোরও ব্যবস্থা করে দিবে। :( :( :( কিন্তু ভাই এই ওয়েবসাইট গুলি FBI, CIA রা চালায়। ভুলেও আপনি কখনো এই জাতীয় তথাকথিত জিহাদী ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করছেন তো আপনার খবর আছে। শুধু নাফিস না এই পর্যন্ত চার জন বাংলাদেশী যুবক এইভাবে জিহাদী ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করতে যাইয়া এখন আমেরিকায় জেলে পঁচতাছে। অনেক আগেই আমার কিছু শুভাকাঙ্গী আমাকে নেটে এই জাতীয় ফেইক জিহাদী ওয়েবসাইটের কথা বলেছিল। ফিলিস্তিন কাশ্মীর বার্মা চেচনিয়া এরকম অনেক দেশেই মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন ভোগ করছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মুসলমান যুবকদের মাঝে কিছু ক্ষোভ থাকতেই পারে। আর এই ক্ষোভটাকেই টোপ হিসাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছে হোয়াইট হাউস। 

বারাক ওবামা একজন কৃষ্ণাজ্ঞ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার অনেক শ্বেতাঙ্গ যুবকই বারাক ওবামাকে পছন্দ করে না। হোয়াইট হাউসে প্রতিদিন অনেক ইমেইল আসে বারাক ওবামা কে হত্যার হুমকি দিয়ে। অনেক শ্বেতাঙ্গ যুবকই ইনিয়ে বিনিয়ে বারাক ওবামাকে হত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে Facebook, Twitter ও অনেক সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। FBI এর স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে কখনই কি আপনারা শুনেছেন যে একটি শ্বেতাঙ্গ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বারাক ওবামাকে হত্যা করার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য ? FBI কিন্তু চাইলেই খুব সহজেই পারে কোন কট্টর শ্বেতাঙ্গ যুবককে ভুল ভাল ভুলিয়ে তার মনে বারাক ওবামা কে হত্যা করার ইচ্ছা জাগ্রত করে তারপর তারা নিজেরাই ঐ শ্বেতাঙ্গ যুবককে নকল বোমা সরবরাহ করে হোয়াইট হাউসে নিয়ে যাবে। আমেরিকার কোন ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করার জন্য যদি রেজোয়ান কাউসারের ১৭ বছর সাজা হতে পারে তাইলে বারাক ওবামা কে হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করার জন্য তো ঐ শ্বেতাঙ্গ যুবকের ৩৪ বছর জেল হওয়া উচিত। নাকি আমরা ধরে নিব যে FBI এর স্টিং অপারেশন শুধুমাত্র কিছু সহজ সরল বাংলাদেশী মুসলিম যুবককে তথাকথিত জিহাদ নামক বিভ্রান্তির জালে জড়িয়ে তারপর সেই মুসলিম যুবকের মাধ্যমে তার পুরা বাংলাদেশটার গায়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানের ন্যায় একটা জংগী রাষ্ট্রের তকমা জুড়ে দেয়ার একটা কুটিল প্রচেষ্টা। আমেরিকার বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে তো পাকিস্তান আফগানিস্তানের অনেক ছেলে পড়াশুনা করে। কই কখনো তো শুনলাম না যে FBI এর স্টিং অপারেশন এর মাধ্যমে কোন পাকিস্তান/আফগানিস্তানের ছেলেকে ধরা হইছে। বাংলাদেশকে সারা পৃথিবী একটা জঙ্গীমুক্ত অসাম্প্রদায়িক মুসলিম দেশ হিসাবেই জানে। FBI এর স্টিং অপারেশন এর মাধ্যমে মনে হয় অতিশীঘ্র আমাদের দেশ একটা জংগী রাষ্ট্রের তকমা পাবে। X(( X(( X(( 

এখন আমাদের কে বুঝতে হবে জিহাদ বা ক্বিতাল পৃথিবীর কোন কোন দেশে হতে পারে। ইসলামী শরীয়তে রাষ্ট্র ৩ ভাগে বিভক্ত। দারুল ইসলাম, দারুল কুফর, দারুল হারব। দারুল ইসলাম মানে খিলাফত রাষ্ট্র যেটা বর্তমান পৃথিবীর কোন দেশেই নাই। দারুল কুফর মানে দেশের জনগন মুসলমান কিন্তু দেশটি চলে কুফরী আক্বীদা দ্বারা যেমন গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্র ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। আর দারুল হারব বা যুদ্ধের দেশ বলতে বুঝায় যেইখানে শত্রু সৈন্যের উপস্থিতি আছে বা মুসলমানরারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে যেমন আফগানিস্তান কাশ্মীর ফিলিস্তিন চেচনিয়া। হ্যা ঐসব দেশে জিহাদ বা ক্বিতাল করা বৈধ কিন্তু ঐসব দেশ ছাড়া আর কোন দেশেই সেটা আমেরিকাই হোক বা ইংল্যান্ড বা ফ্রান্স হোক সেইসব দেশে জিহাদের নামে কখনোই ঐসব দেশের নিরীহ বেসামরিক লোকদের কে হত্যা করা ইসলামী শরীয়তে পুরাপুরী হারাম। আল ক্বায়েদা মূলত ইমাম ইবনে তাইয়িমার একটা ফতোয়া ব্যবহার করে যেই ফতোয়াটা ইমাম ইবনে তাইয়িমা তাতার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুসলমানদের জিহাদের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু ইমাম ইবনে তাইয়িমার এই ফতোয়াটা দারুল হারব ছাড়া আর অন্য কোন দেশে প্রযোজ্য হবে না। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না যে আল ক্বায়েদা শুধু আরবদের সংগঠন। অনারবদের আল ক্বায়েদায় কোন প্রবেশাধিকার নাই। আর এখন আরব বসন্ত শুরু হইছে আরব বিশ্বে। আল ক্বায়েদার উচিত এখন আফগানিস্তান ছেড়ে আফগান লোকদেরকে মুক্তি দিয়ে আরব বিশ্বে চলে যাওয়া। X(( X(( X(( এই শুধু আল ক্বায়েদার জন্য আফগানিস্তান দেশটা শেষ হয়ে গেল। আর আমাদের মুসলমানদের উচিত আগে খিলাফত ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়া। মুসলিম বিশ্বে একজন কেন্দ্রীয় খলিফা থাকা সব সময় ফরজ কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে মাওসেতুং এর নামে স্লোগান দিলে কিছু হয় না কিন্তু রাজপথে খিলাফতের কথা বললেই সাথে সাথে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা খেয়ে ১ বছরের জন্য জেলে যেতে হয়। 

Monday, November 5, 2012

এক অসহায় যুবককে সাহায্য করুন


ভাইয়া, আমার ঘরে সৎ মা। আমার সত্‍ মা আমাকে টাকা দিতে চায় নাকোন ভাল ইসলামী বই কিনতে নেট খরচ চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়আপনি কি আমাকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন ?
আমার বিকাশে একটা একাউন্ট আছে এই নাম্বারে 01836638195 আপনি বিকাশ চিহ্নিত যে কোন দোকানে যেয়ে আমার একাউন্টে কিছু টাকা দিতে পারেনএর জন্য আপনার নিজের বিকাশ একাউন্ট থাকা লাগবে নাআমি বর্তমানে খুব আর্থিক সমস্যায় আছি
ডাচ বাংলা ব্যাংকে আমার একটা সেভিং একাউন্ট আছেঐটার ঠিকানা Name: Shafiur Rahman Farabi, Account no: 13210118551, Moulavibazar branch, Dutch Bangla Bank Limited, SWIFT CODE: DBBL BDDH, আমার মোবাইল +8801836638195http://www.facebook.com/note.php?note_id=507055859307647 

Thursday, July 12, 2012

My talk


I wish to do Hajj
 i works for islam. Please read my 1 article by click this Linkhttps://www.facebook.com/note.php?note_id=228138757199360
i wish to do Hajj but now i am in serious financial problem. are you help me ? Please send me some money at my Bank Account. Account address: Name: Shafiur Rahman farabi, Account no: 13210118551, Dutch Bangla Bank Limited, Moulavibazar Branch, post code: 3200, Swift code: DBBL BDDH, country:
Bangladesh. 
i am waiting for your reply. my cell +8801710933470. now i stay in Sylhet city in
Bangladesh. In Facebook I have an account by that email- Farabi1986@gmail.com

সামহোয়ার ইন ব্লগ, farabi2012, 19241924
আমার Facebook ID- http://www.facebook.com/farabi.shafiur.rahman
https://www.facebook.com/note.php?note_id=426668240679743ভাইয়া, একটা কথা বলি কিছু মনে করবেন নাআমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে PHYSICS HONOURS পড়তামকিন্তু পাস করতে পারি নাইআমার পিতা বেচে নাইআমার বয়স যখন ৫ বছর তখন আমার মাও মারা যায়আমার ঘরে Step Mother, আমার সত্‍ মায়ের ব্যবহার খুব খারাপআপনার পরিচিত কোন পরিবার যদি islamic minded ছেলে খোজে তাইলে দয়া করে আমার কথা বলবেনমেয়ের পরিবারের যদি কোন ব্যবসা থাকে তাইলে আমি সেই ব্যবসা দেখাশুনা করতে ইচ্ছুকমেয়ের যদি আগে বিয়েও হয়ে থাকে তাতেও আমার কোন আপত্তি নাইআমি আগে এই সত্‍ মায়ের/Step Mother এর হাত থেকে মুক্তি চাইবর্তমানে আমি খুব আর্থিক সমস্যায় আছিআমার বয়স ২৬Please আপনি আমার ব্যাপারটা একটু দয়া করে দেখবেনআপনি তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সময় আমার জন্য একটু দোয়া করবেনআমার মোবাইল 01710933470, 01836638195, লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম, আপনি আবার কিছু মনে করবেন না
ভাইয়া নামাযের মাঝে সিজদা সাহুর মাসলা-মাসায়েল নিয়ে একটা NOTE লেখছি। লিংক টা হল এটা
https://www.facebook.com/note.php?note_id=458724550807445

dolilsoho namazer masayel-----------mawlana abdul matin--------maktabatul azhar
nobijir namaz----------------maktabatul ashraf


ভারত বর্ষের মির্জা মাযহার সাহেব ছিলেন একজন বড় ধরনের বুযুর্গতবে উনি উনার কাটকাট কথার জন্য বিখ্যাত ছিলেনএকদিন উনি উনার এক অনুসারীকে বললেন তোমার তো ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছেতাদেরকে একদিন নিয়ে আস না আমার কাছেতো ঐ অনুসারি তার বাচ্চাদের খুব বুঝিয়ে সুঝিয়ে একদিন মির্জা মাযহার সাহেবের দরবারে এই বলে নিয়ে আসল যে ঐখানে গিয়ে কোন দুষ্টামি করা যাবে না, চুপচাপ বসে থাকতে হবেবাচ্চারাও মির্জা মাযহার সাহেবের দরবারে যেয়ে পিতার কথা মত মির্জা মাযহার সাহেব কে সালাম করে মূর্তির মত দরবারের এককোণে চুপ করে বসে থাকলকিছুক্ষন পর মির্জা মাযহার সাহেব তার ঐ অনুসারীকে জিজ্ঞাস করল কই তোমার বাচ্চারা কই? অনুসারি বলল হুজুর এরা তো একটু আগেই আপনাকে সালাম করে ঐখানে চুপ করে বসে আছেতখন মির্জা মাযহার সাহেব বললেন তুমি তো তোমার বাপকে আমার কাছে নিয়ে এসেছএরা তো তোমার বাপএরা যদি তোমার বাচ্চা হত তাইলে এরা কেউ আমার দাঁড়ি ধরে টান দিত, কেউ আমার কোলে বসত, কেউ আমার টুপি নিয়ে যেতবাচ্চাদের স্বভাব এমনি হয়ে থাকেএরা তো তোমার আব্বা হয়ে বসে আছে আমি তো তোমার বাপকে দেখতে চাইনি, আমি তোমার বাচ্চাদের দেখতে চাইছিলাম

খলিফা হারুনুর রশিদ একবার তার মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে ভ্রমনে বের হয়েছিলেনএক বৃদ্ধকে দেখলেন বাগানে বীজবপন করছেখলিফা তখন ঐ বৃদ্ধকে জিজ্ঞাস করল কিসের বীজ বপন করছেন ? বৃদ্ধ জবাব দিল খেজুর গাছেরখলিফা হারুনুর রশিদ বললেন খেজুর গাছের বীজ থেকে ফল হতে ২০-২৫ বছর লাগেআপনার এক পা কবরে চলে গেছে আর আপনি ২০ বছর পরের ফলের কথা চিন্তা করছেনবৃদ্ধ লোকটি হেসে জবাব দিল সব বৃক্ষ রোপনকারি যদি এই কথা চিন্তা করত তাইলে আমরা একটা খেজুরও খেতে পারতাম নাখলিফা বৃদ্ধের যুক্তিসঙ্গত উত্তর শুনে বললেন হ্যা তুমি ঠিক বলেছখলিফা হারুনুর রশিদের একটা অভ্যাস ছিল কার কথায় উনি সন্তুষ্ট হলে তাকে ১০০০ স্বর্ণ মুদ্রা দিতেনফলে খলিফা হারুনুর রশিদের উজির ঐ বৃদ্ধকে ১০০০ স্বর্ণ মুদ্রা দেয়এর কিছুক্ষন পর বৃদ্ধ এসে বলল অন্যদের লাগান বীজ ২০-২৫ বছর পর ফলদার হয় আর আমার বীজ এই মূহুর্তে ফলদায়ক হয়ে গেল! তখন খলিফা হারুনুর রশিদ বলল হ্যা তুমি ঠিকই বলেছফলে ঐ বৃদ্ধ আরো ১০০০ স্বর্ণ মুদ্রা পায়কিছুক্ষন পর ঐ বৃদ্ধ আবার এসে বলে অন্যদের লাগান বীজ তো বছরে একবার ফলন দেয় আর আমার লাগান বীজ মুহূর্তের মধ্যে দুবার ফল দিয়ে দিলতারপর খলিফা হারুনুর রশিদ বলে হ্যা তোমার এই কথাও ঠিকপরে খলিফা হারুনুর রশিদ উনার মন্ত্রীপরিষদকে বলল দ্রুত চলতে, তা না হলে ঐ বৃদ্ধ তার কথার মারপ্যাঁচে পুরো রাজকোষাগার লুটে নিবে
ভাই মন খুব খারাপ, সৎ মা অনেক গালিগালাজ করছে। আপনি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আমার জন্য দোয়া কইরেন।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালার ৯৯ বা ১০০ টা নাম হাদীস শরীফে আছে। এর মাঝে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অনেক গুলি নাম বিপরীত গুণবাচক। যেমন আদ দাররু নামের অর্থ হল
ক্ষয় ক্ষতি যার ইঙ্গিতে হয়ে থাকে, ইয়া মুযিল্লু নামের অর্থ হল অপমান কারী, আল মুনতাকিমু মানে হল প্রতিশোধ গ্রহনকারী আবার আল মুমিয়তু মানে হল মৃত্যু দানকারী। অর্থ্যাৎ কাউকে হেদায়াত দান করেন আল্লাহ আবার কাউকে গোমরাহী করেনও আল্লাহ সুবহানাতায়ালা। হেদায়াত গোমরাহী, আলো অন্ধকার উভয়টির সৃষ্টিকর্তা হল আল্লাহ সুবহানাতায়ালা। এই জন্য শয়তান স্বপ্নের মাঝে যে কোন আকৃতি ধারন করে নিজেকে আল্লাহ বলে পরিচয় দিতে পারে। শয়তান কে এই কাজ করতে নিষেধও করা হয় নি। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন শুধু রহমতের প্রতীক। সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আল্লাহ শুধু রহমত হিসাবেই দুনিয়ায় প্রেরন করেছেন। এমনকি জিহাদের ময়দানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্ত্র হাতে নিয়ে কোন কাফের কে হত্যা করার অনুমতি ছিল না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা জীবন কোন যুদ্ধ ক্ষেত্রেই কোন কাফের কে সরাসরী হত্যা করেন নি। কারন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন শুধু রহমতের প্রতীক। এইজন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চেহারা কখন আলো অন্ধকারের মিলনস্থল হতে পারে না। এই জন্য শয়তানের পক্ষে স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আকৃতি ধারন করে বা অন্য কোন আকৃতি ধারন করে নিজেকে আল্লাহর রাসুল বলে পরিচয় দেয়া সম্ভব নয়। শয়তান কে এই ক্ষমতাও দেয়া হয় নি। তাই কেও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখলে সে সত্যিকার ভাবেই আল্লাহর রাসূল কে স্বপ্নে দেখেছে। তাবেঈন থেকে শুরু করে ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম হাম্বলী, ইমাম বুখারী এবং এরকম আরো হাজার হাজার বুযুর্গ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখেছেন। উনারা উনাদের ছাত্র অনুসারী দের কেও এই স্বপ্নের কথা গুলি বলেছেন। প্রাচীন সীরাত গ্রন্থে এরকম অনেক হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা পাওয়া যায়। খোদ আমাদের ভারত বর্ষেও অনেক বুযুর্গ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখেছেন। যেমন দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাসেম নানুতবী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি, তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস আলী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি, ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রথম খতীব মাওলানা মুফতী সৈয়দ আমীমুল এহসান রাহমাতুল্লাহ আলাইহি, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি, শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এরকম আরো অনেকেই। উনাদের এই ঘটনা গুলি উনাদের জীবনীতেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন আপনি যদি বলেন  রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখা যায় না তাইলে আপনি এই হাজার হাজার বুযুর্গ কে মিথ্যাবাদী বললেন।
[ তথ্যসূত্রঃ স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, লেখক মাসিক মদীনা পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দিন খান]

বাংলা ভাষায় নাস্তিকতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভাল ওয়েবসাইট টা হল এটা www.shodalap.org
সবাই কে সদালাপে ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ জানালাম।


ratulbd@gmail.com
·                                  
আপনি আমার রবি নাম্বার 01836638195 এ ২০ টাকা দিতে পারবেন ? আমার পিতা মারা গেছে। তাই একটু অভাবে আছি।
ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাংলাদেশের প্রান্ত হতে আপনাকে হাজার সালাম!
ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক
সহীহ বুখারী,৮ম খন্ড,পৃষ্ঠা ৪০১
হাদীস ৪৭২৫