About Me

My photo
এক অসহায় যুবককে সাহায্য করুন ভাইয়া, আমার সত্‍ মা আমাকে টাকা দিতে চায় না। কোন ভাল ইসলামী বই কিনতে ও নেট খরচ চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়। আপনি কি আমাকে কিছুটা আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন ? আমার বিকাশে একটা একাউন্ট আছে এই নাম্বারে 01836638195 আপনি বিকাশ চিহ্নিত যে কোন দোকানে যেয়ে আমার একাউন্টে কিছু টাকা দিতে পারেন। এর জন্য আপনার নিজের বিকাশ একাউন্ট থাকা লাগবে না। আমি বর্তমানে খুব আর্থিক সমস্যায় আছি। ডাচ বাংলা ব্যাংকে আমার একটা সেভিং একাউন্ট আছে। ঐটার ঠিকানা Name: Shafiur Rahman Farabi, Account no: 13210118551, Moulavibazar branch, Dutch Bangla Bank Limited, SWIFT CODE: DBBL BDDH, আমার মোবাইল +8801836638195

Saturday, June 11, 2011

হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম ১ম পর্ব

হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম হচ্ছেন হযরত ঈসা আলাইহিসসাল্লাম এর মাতা। খ্রিষ্টানরা উনাকে মাতা মেরী বলে ডাকে। আল-কোরানে সূরা মরিয়ম এবং সূরা আল-ইমরান নামে দুই টি সূরা রয়েছে। সেখানে হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইমরান হচ্ছেন হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর পিতা। উনি ছিলেন বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের সম্মানিত ইমাম। হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর মায়ের নাম ছিল হান্না কিংবা হাসনা। উনি ছিলেন নিঃসন্তান। উনার মায়ের মনের বাসনা ছিল যে উনার কোন সন্তান হলে উনি সেই সন্তান কে বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের খেদমতের জন্য উৎসর্গ করবেন পবিত্র কোরানে ঘটনাটি এভাবে উল্লেখ আছে – “ অতঃপর যখন সে ( ইমরানের স্ত্রী ) সন্তান প্রসব করলো তখন সে বলে উঠলোঃ হে পরওয়ারদিগার ! আমি তো মেয়ে প্রসব করেছি এবং পুত্র সন্তান তো এই কন্যা সন্তানের মত নয়। ” ( সূরা আল-ইমরান-৩৬ ) অর্থ্যাৎ ছেলে ও মেয়ে তো একরকম নয়। তখন ইমরানের স্ত্রীর এই অভিযোগের সাথে সাথে আল্লাহ সুবহানাতায়াল উত্তর দিচ্ছেন, “ আল্লাহ তো জ্ঞাত রয়েছেন সে যা প্রসব করেছে সে সম্পর্কে। ” অর্থ্যাৎ আল্লাহ সুবহানাতায়াল তাঁর দোয়া কবুল করেছেন এবং সে দোয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি জেনে শুনে এ সন্তান দান করেছেন।

অতঃপর ইমরানের স্ত্রীর বলেনঃ “ যাই হোক আমি এ মেয়ের নাম রাখলাম মরিয়ম এবং তাকে ও তার ভবিষ্যত বংশধরকে শয়তানের ফেৎনা থেকে রক্ষা করার জন্য তোমারই (আল্লাহ সুবহানাতায়াল) আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ” ( সূরা আল-ইমরান-৩৬ )

ইমরানের স্ত্রীর এ প্রার্থনাও কবুল করে আল্লাহ সুবহানাতায়াল দুনিয়া বাসীকে জানিয়ে দিলেন- “ শেষ পর্যন্ত তাঁর খোদা এ মেয়ে সন্তান কে সন্তষ্টির সাথে কবুল করেছিলেন এবং তাকে খুব ভালো মেয়ে হিসাবে গড়ে তুললেন। ” ( সূরা আল-ইমরান-৩৭ )

হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর জন্মের কিছু পূর্বেই উনার পিতা মারা যান। হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম জন্মলাভ করার পর তাঁর মা তাঁকে খোদার কাজের জন্য বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে নিয়ে যান। তখন অনেকেই হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর অভিভাবকত্ব নিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তখন লটারীর মাধ্যমে হযরত যাকারিয়া আলাইহিসসাল্লাম হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর অভিভাবকত্বের দায়িত্ব পান। উনি ছিলেন হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর খালু। হযরত যাকারিয়া আলাইহিসসাল্লাম যখন হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর পৃষ্ঠপোষকতা করতে লাগলেন, তখন যখনই হযরত মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম এর মেহরাবে যেতেন, তখনই তাঁর নিকত কিছু না কিছু অমৌসুমি ফলমূল দেখতেন। আল-কোরানে এই ঘটনাটি এভাবে আছে- “ মরিয়ম উহা তুমি কোথায় পেলে? মরিয়ম তখন উত্তর দিত, ইহা খোদার নিকট থেকে আসেছে। বস্তুতঃ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে বিপুল পরিমানে রিযিক দান করেন” ( সূরা আল-ইমরান-৩৭ )


মরিয়ম আলাইহিসসাল্লাম যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হন তখন উনার কাছে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার দূত অর্থ্যাৎ ফেরেশতা আসেন। আল-কোরানে পুরো ঘটনাটি খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ আছে। “ এমতাবস্থায় আমি মরিয়মের নিকট নিজের রুহ (অর্থ্যাৎ ফেরেশতাকে ) পাঠালাম, আর সে তার সামনে এক পূর্ণাঙ্গ মানুষের আকারে আত্মপ্রকাশ করলো। ”
-“ এ দেখে মরিয়ম বলে উঠলোঃ আমি তোমার হতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে

No comments:

Post a Comment