এস্তেগফার শব্দের অর্থ হল ক্ষমা প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে নিজের যাবতীয় পাপ কার্য থেকে তওবা করা এবং ভবিষ্যতে এ কাজ গুলো আর না করার অঙীকার করার নামই হলো এস্তেগফার। এস্তেগফারের বরকতঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘‘ যে ব্যক্তি সব সময় আল্লাহর কাছে এস্তেগফার করতে থাকে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সংকট থেকে মুক্তির পথ বের করে দিবেন, তার যাবতীয় চিন্তা ও উদ্ধেগ দূর করে তাকে প্রশস্ততা ও প্রশান্তি দান করবেন এবং তাকে কল্পনাও করা যায় না এমন জায়গা থেকে রিযিক দিবেন।’’ তথ্যসূত্রঃ আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)।
একটি এস্তেগফারঃ হযরত যায়েদ (রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘‘ যে নিম্নোক্ত ভাষায় আল্লাহ তায়ালার দরবারে তওবা ও এস্তেগফার করে, তাকে অবশ্যই ক্ষমা করা হবে যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নের মত গুরুতর গোনাহ করে থাকেঃ
আস্তগফিরুল্লা হাল্লাযিই লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুওবু ইলাইহি। অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরজীবি, বিশ্বের প্রতিষ্ঠাকারী। আমি তাঁর সমীপে তওবা করছি।’’
তথ্যসূত্রঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এবাদত, দোয়া ও মোনাজাত, লেখক- মাওলানা মহিউদ্দিন খান।
যিকিরঃ
যিকির শব্দের অর্থ হলো আল্লাহর নাম স্মরন করা।
যিকিরের ফযীলতঃ
হযরত আবু হোরাইরা (রাঃ)-এর রেওয়াতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-‘‘ দুইটি কালেমা উচ্চারনে হালকা, আমলের দাঁড়িপাল্লায় খুব ওজনদার এবং করুনাময় আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয়। এই কালেমা দুইটি হলোঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম। বাংলা অর্থঃ মহাপবিত্র আল্লাহ, তাঁর জন্য সকল প্রশংসা, মহাপবিত্র আল্লাহ, তিনি মহামহিম।’’
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম শরীফ।
Saturday, May 21, 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment